সবাইকে স্বাগত জানিয়ে শুরু করছি। আজ আমরা একটি ভুতুড়ে দূর্গ সম্পর্কে জানবো যার সত্যিই ভুতুড়ে বলে কুখ্যাত আছে।
ভারতের আলোয়ার জেলায় অবস্থিত ভাঙ্গার ফোর্ট তেমন একটি স্থান। এই দুর্গটির অভিশপ্ত হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারণ আছে।
১৫৭৩ সালে নির্মাণ করা হয় এই দূর্গটি। বর্তমানে প্রায় ভেঙে পড়া অবস্থায় আছে এটি।
এই দুর্গটির ভুতুড়ে হওয়ার পেছনে যে গল্পটি সবচেয়ে জনপ্রিয় তা হলো:-
এই রাজ্য সে সময় এক রাজকুমারী ছিলেন। নাম তার রত্নাবলী । যেমন ছিল তার রূপ, তেমনি বুদ্ধিমানও। তার সৌন্দর্যের মহিমায় তার প্রতি আকৃষ্ট হবেনা এমন কেউ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল । সবাই তাকে দেখা মাত্র তাঁর প্রেমে পড়ে যেত।
ঠিক এই ভাবে তাকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায় এক তান্ত্রিক। যে রাজকুমারীকে পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। সে ঠিক করে যেভাবেই হোক সে রাজকুমারীকে তার করে নিবেই।
তাই সে মন্ত্রপড়া এক বাটি তেল পাঠাই, যা রাজকুমারীর শরীরে লাগা মাত্রই তান্ত্রিকের প্রেমে পড়ে যাবে। কিন্তু বুদ্ধিমান রাজকুমারী সেটা বুঝতে পাড়ে ফলে সে ওই তেল মাটিতে ফেলে দেয়।
এতে তান্ত্রিক পাথরের মূর্তিতে পরিণত হয়।
তান্ত্রিক অভিশাপ দেন যে ওই বাড়িতে আর কোন সন্তান জন্মাবে না।
গল্পটি সত্যি নাকি মিথ্যে তা নিয়ে দ্বিধা থাকলেও, সবচাইতে বড় ব্যাপারটি হলো এই দূর্গকে ঘিরে থাকা মানুষের ভয়। প্রচণ্ড ভয় পায় মানুষ এই দূর্গে প্রবেশ করতে। আর তার পেছনে রয়েছে দূর্গের ভেতরে হওয়া ভুতুড়ে ব্যাপারগুলো। এই দূর্গে অনেকেই সাহস প্রমাণ করার জন্য থাকতে গিয়েছেন। কিন্তু এদের কেউ আর ফিরে আসেননি। শুধু তাই নয়। দূর্গ থেকে রাতের বেলা চুড়ির শব্দ, কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে প্রায় সময়। আর এই সবকিছু মিলেই পুরো দূর্গটিকে অভিশপ্ত ও ভুতুড়ে বলে মনে করছেন সবাই।
এক ব্যক্তি দূর্গের পাশ দিয়ে চলে আসার সময় হুট করে এক আগুন্তকের দেখা পান। পরবর্তীতে এই আগন্তুক একদম হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলেন। হুট করে এভাবে দেখা দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এই দূর্গের পাশে একেবারেই কম নয়।
কী ভাবছেন? এই সবটাই কল্পনা? অনেকগুলো দিন ধরে চলে আসছে ভাঙ্গার ফোর্টকে নিয়ে এমন কাহিনী। সেই কাহিনীগুলো একে একে ডালপালাও ছড়িয়েছে অনেকটা। তাই, সাহস থাকলে এই দূর্গে রাত কাটিয়ে আসতে পারেন আপনিও!