Chalan Beel: The Mystery of Landlord & Three Temple

সবাইকে মিস্টি বাংলা ব্লগে স্বাগতম। আজ আমরা বাংলাদেশের এমন একটা জায়গা সম্পর্কে জানবো যার একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত, নাম চলন বিল।
চলনবিল রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলা নিয়ে বিস্তৃত।
চলন বিলের গঠন ঐতিহাসিকভাবেই আত্রাই ও বড়াল নদীর সংকোচনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আত্রাই নদী ছিল চলন বিলের প্রধান যোগান দানকারী প্রণালী যা বৃহত্তর রাজশাহী জেলার উত্তরাংশ ও দিনাজপুর এলাকার জল নিষ্কাশন করত। বড়াল চলন বিল থেকে জল নির্গম পথ হিসেবে কাজ করে এবং বিলের পানি বহন করে যমুনা নদীতে ফেলে। চলন বিলের মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি নদী প্রবাহিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- করতোয়া, আত্রাই, গুড়, বড়াল, মরা বড়াল, তুলসী, ভাদাই, চিকনাই, বরোনজা, তেলকুপি ইত্যাদি।
চলনবিল ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এক স্বর্গ। এর অপরূপ সৌন্দর্যের মহিমায় মুগ্ধ হবে সবাই। কিন্তু সৌন্দর্যের পাশাপাশি এটি ভুতুড়ে বলে‌ও খ্যাত আছে। বিলের আয়তন চারটি জেলা নিয়ে হলেও, ভৌতিক স্বান শুধু সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াস উপজেলা বোঝানো হয়।
একদা এক সময় এই জায়গায় এক জমিদার ছিলেন। তিনি খুব নামকরা জমিদার ছিলেন। একটা সময় জমিদার কোন এক অজানা রোগে ভুগে মারা যান। আর তার পরেই ঘটে এক ঘটনা।
লোকমুখে শোনা যেত জমিদার নাকি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তাই তার মৃত্যুর পর যখন তিনটি মন্দির তৈরি হয়ে যায়, তখন লোকজন এটার পিছনে জমিদারের ওই অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলেই ধরে নেয়।কারন যদি কোন মন্দির তৈরি করতে হয় তাহলে তার জন্য দরকার বাড়ি তৈরি করার সরঞ্জাম, মূর্তি, ঘন্টা, রাজমিস্ত্রী, এছাড়াও দরকার সময় কমকরে হলেও ছয় মাস। কিন্তু রাতারাতি তিন তিনটা মন্দির তৈরি হয়ে যাওয়া এইটা দৈবিক বিষয় ছাড়া অন্য কিছু হতেই পারেনা।
তো সে যাহোক , এই ঘটনার পর লোকজন ভীতির চাইতে আধ্যাত্মিক বিষয়টা বেশি উপলব্ধি করে। তো যখন তারা তাদের ভক্তি প্রকাশ করতে যাবে, তখন ঘটলো আরও ভয়ানক ঘটনা। মন্দির গজিয়ে উঠার পরের দিনই মন্দির তিনটা ভেঙ্গে যায়।
এ ঘটনায় জনসাধারণের মধ্যে শুরু হয় ভীতিকর সব অনুভূতি। তাঁরা মনে করতে থাকে এর পিছনে ‌ভুতুড়ে বা অশরিরী কোন বিষয় আছে। আবার কেউ কেউ মনে করতে থাকে জ্বীনদের হাত থাকতেও পারে। এরপর অনেকেই ওই জায়গায় কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা উপলব্ধি করতে থাকে। যেমন তাঁরা চলাচলের সময় তাদের সাথে আর‌ও কেউ আছে এমন একটা বিষয় ঘটতে থাকে, কিন্তু তাঁরা এর যে কি ব্যাখা তা বুঝতে পারে না। এছাড়াও সরাসরি অদৃশ্য কোন বস্তুর আক্রমণ করতে থাকে।
তবে প্রশ্ন একটাই এগুলো কি সত্যি? সত্যি কি মিথ্যা এ প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি, তবে এই অঞ্চলে নাকি এখনো এমন অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটচ্ছে বলে শোনা যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন