Mysteries Sound in Chikonkala

আপনাদের সবাইকে মিস্ট্রি বাংলা স্বাগত জানিয়ে শুরু করছি আজকের আর্টিকেল। আমাদের আজকের বিষয় বাংলাদেশের আরেকটি রহস্যময় স্থান নিয়ে । এটি বাংলাদেশের জায়গা বললে ভূল হবে ,এটির অবস্থান বাংলাদেশ ও মায়ানমার এর সীমান্তবর্তি ছিটমহল(No Man Land), সেখানে একটি গ্রাম যার নাম চিকনকালা । এই গ্রামে বসবাসরত এক উপজাতি যার নাম মুরং । তারা তাদের পার্শ্ববর্তি এক জঙ্গল থেকে একটা ভয়ংকর শব্দ শুনতে পায় এবং তারপর তাদের সাথে ভয়ংকর যে ঘটনা ঘটে তা আজকের আর্টিকেল এর বিষয়।
আগেই বলেছি চিকনকালা গ্রামের অবস্থান নো ম্যানস ল্যান্ডে । এই গ্রামে মুরং উপজাতির বাস । এই মুরং উপজাতি বেশ সরল সোজা এবং মিশুক। তারা বেশ অথিতি আপপায়ন করতে পারে, এবং একবার যদি এখানে আপনি আসেন তো তাদের এই খাতির যত্ন কথা এতটায় মনে ধরবে যে, আপনি বাধ্য হবেন এখানে বারবার আসতে।
কিন্তু এইখানে পৌছানো কিন্তু মুখের কথা না বা সহজ নয় আপনাকে এখানে আসতে গেলে আপনাকে মুখোমুখি হতে হবে চিতাবাঘ,ভাল্লুক,হাতি,বনবিড়াল,বন্যশুকর , নানা প্রজাতির বিষধর সাপ । তবে এগুলো পরয়া না করেই যারা একবার এখানে পৌছেছে তারা মতে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন স্বর্গের মত।
এই চিকনকালা গ্রামে এক জঙ্গলকে কেন্দ্র করেই মূল ঘটনা। জঙ্গলটির নাম চিকনকালা বন । এই জঙ্গলে যারা বিকালের পর কাঠ কাটতে যায় তারা এক ধরনের অদ্ভুত শব্দ শুনতে পায়, এবং শব্দ শোনার পর তারা তাদের কাজ ফেলে দৌড়ে পালাতে থাকে । কিন্তু সবাই নিজ নিজ বাসভবনে ফঔছুতে পারে না । কিছু লোক দৌড়ানোর সময় পিছনে পরে যায় , আর তারা কখনই ফিরে আসে না । এরপর কোন একদিন তাদের সন্ধানে বের হলে দেখা যায় ওই লোক গুলো সেখানেই মৃত অবস্থায় পরে আছে। আর তাদের কে কেউ খুন করেছে তা নয় ,কারন তাদের কারও শরীরে আঘাতের কোন চিন্হ পাওয়া যায়নি । তাদের চোখে থাকে এক ভয়ের ছাপ কিন্তু কি দেখে তারা ভয় পেয়েছে তা জানা যায়না ।
এটাই মূলত চিকনকালার ঘটনা। এখানে কিছু প্রশ্ন আসে, ওই জঙ্গলে যেই শব্দ শোনা যায় ওটা আসলে কিসের শব্দ? কেন ওই শব্দ হয়? কেনই বা ওই শব্দ শুনলে স্থানীয়রা পালায়? এবং যেই মানুষ গুলো মারা যায় তারা কোন আঘাত না পেয়ে কিভাবে মারা যায়? তাদের সাথে কি এমন ঘটে? আর তাদের মৃত দেহ পাবার পর তাদের চোখে এক ধরনের ভয় দেখতে পাওয়া যায় ,কিসের ভয় থাকে এটা?
এই প্রশ্ন গুলোর কোন উত্তর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি । এমনকি আপনি যদি ইন্টারনেট খোঁজ করেন তবুও বেশি কিছু জানতে পারবেন না। এখানে অদ্ভুত যেই বিষয়টা সেটা হলো ওই শব্দ হওয়ার পর তারা অর্থাৎ স্থানীয়রা পলায়ন করে। কিন্তু তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা এসম্পর্কে কিছু বলতে পারেনা অথবা বলতে চায়না। এছাড়াও দেখা যায়যে পলায়নের সময় কিছু লোক পিছনে পরে যায় এবং যারা পিছনে পরে তারা মারা যায়। এই ব্যক্তি গুলো কিভাবে পিছনে পড়ে? তারা কি দৌড়ানোর সময় সাথিদের সাথে তাল রাখতে পারেনা এজন্য নাকি কেউ তাদের বাধা দেয়? এরও কোন সুরয়া করা যায়নি । আর ওই শব্দটা শুধু মাত্র বিকেলের পর যাকে বলে পড়ন্ত বিকেল ওই সময় শুনতে পায়।
শেষ করব ভুত এফ-এ প্রচারিত একটি ঘটনা দিয়ে যা হয়ত আমাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এই ঘটনা প্রচার হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ এপিসোডে ঘটনাটা এরকম:
১৯৭৯ সালে যখন প্রথম রাখায়েনের রহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চলে তখন ওই রহিঙ্গাগন বাংলাদেশে আসতে থাকে। তাদের ওপর যে নির্যাতন বা জুলুম করা হয়েছে তা প্রত্যেক্ষ করার জন্য আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয়জন গবেষক টিম বাংলাদেশে আসেন । তারা তাদের প্রতিবেদন লেখার পাশাপাশি একটি ঘটনা শোনে যা ওই অঞ্চল অর্থাৎ চিকনকালা জঙ্গলের ঘটনা। তারা নিজের প্রত্যেক্ষ করার জন্য একজন গাইড সহ ওই জঙ্গলে যায়। প্রথম চারদিন তারা কিছু শুনতে বা উপলব্দি করতে পারেনা । তবে পঞ্চম দিন তাদের একজন শুনতে পায় ভূমিকম্প হলে যেমন আওয়াজ হয় ঠিক তেমন আওয়াজ। আরেকজন শুনতে পান অনেক সৈন্য ঘোড়া তাড়া করে যেন তাদের দিকে আসছে । আরেকজন শুনতে পান ঝড়ের শব্দ। এভাবে একেকজন একেক ধরনের শব্দ শুনতে পান । শুধু একজন শুনতে পাননা তিনি ছিলেন মিশরীয় । তখন তাদের গাইড বলে এখান থেকে সরে পরতে । তারা রাজি হয় কিন্তু ওই মিশরীয় ভদ্রলোক ছাড়া । তিনি সেখানে থেকে যেতে চান । তার সহকর্মি তাকে চলে আসতে বলে কিন্তু তিনি আসেন না। তার সহকর্মিরা তাকে সেখানে কিছুটা দুরে গিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিছুক্ষন পর ওই মিশরীয় মানুষ টা চলে আসে এবং সে বলে যে সে তার চারপাশে ফিসফিস করে কি যেন বলছে কিন্তু সে কাউকে দেখতে পায়না।এরপর তারা সবাই আমেরিকা চসে আসে । আর ওই মিশরীয় ব্যক্তির সাথে অদ্ভুত অনেক কিছুই ঘটতে থাকে যেমন, তাকে তার পরিবারের সদস্য ফিসফিস করে কারও সাথে কথা বলতে শোনে।এছাড়াও তাকে বিয়ে দিতে চাইলে সেই মেয়েটাও ফিসফিস করে কি যেন বলতে থাকে । এক সময় ওই ব্যক্তি টি মারা যায় এবং তার চোখেও ছিল কোন এক অজানা ভয়।ঘটনাটা ভালভাবে শুনতে ভুত এফ এর ২৭ জানুয়ারী ২০১৭ এপিসোডটি শুনুন।ধন্যবাদ সবাইকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন