দীর্ঘ এক বিরতির পর সবাইকে আবারও স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি। আজকের বিষয় এক অমিমাংসিত গুপ্তধন সম্পর্কে যা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জলদস্যুদের গুপ্তধন খুঁজতে আপনার কত বয়স তা দেখতে হবে না, সুতারাং সবাই একসাথে সেই জলদস্যুর গুপ্তধন খুঁজতে বেড়িয়ে পড়ব।
নিশ্চয়ই আপনি ক্যাপ্টেন কিডসের নাম শুনেছেন, কিন্তু তার সম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না । তাহলে সংক্ষেপে বলতে হয়, তিনি ছিলেন সরকারি অনুমোদিত জলদস্যু। সে শুধু ফ্রান্সের জাহাজ ডাকাতি করত। শুধু ফ্রান্সের জাহাজ ডাকাতি করতে করতে বিরক্ত হয়ে সে সব ধরনের জাহাজ থেকেই লুটপাট করতে শুরু করে। যার ফলে সে পাহাড় সমান সম্পদের অধিকারি হয়ে যায়।
কিন্তু সব ধরনের জাহাজ ডাকাতি করার জন্য সে ব্রিটিশ জাহাজও ডাকাতি করতে হয়, আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। সরকার তাকে গ্ৰেফতার করার অর্ডার দেয়। এর জন্য ক্যাপ্টেন কিডস ভাবে,সে যদি ধরা পরে তাহলে তার সম্পত্তি যেগুলো সে ডাকাতি করে অর্জন করেছে তাও বাজেয়াপ্ত হবে । তাই সে ঠিক করলো তার সব সম্পত্তি লুকিয়ে রাখবে , এবং সে তাই করলো। যা এখন এক গুপ্তধন হিসেবে বিশ্বের হাজার হাজার গুপ্তধন শিকারিরা খোঁজ করছে।
ক্যাপ্টেন কিডসের গুপ্তধন বিশ্বের যতগুলো অমিমাংসিত গুপ্তধন আছে তার মধ্যে অন্যতম। ব্রিটিশরা এখনো তার গুপ্তধনের সন্ধান পায়নি। গুপ্তধন শিকারিরা তার গুপ্তধনের অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানতে পারিনি। গবেষণায় চারটি স্থান সম্পর্কে জানা যায়।
এর মধ্যে একটি হলো নিউ জার্সির ক্লিফউড বিচ,কারন এখানে কিডসের বাহিনীর ব্যবহার করা দুটি গাছ পাওয়া গেছে ।যা তারা জাহাজ তীরে ভিড়ানোর জন্য ব্যবহার করত
ক্লিফউড বিচে দুটি জায়গাকে অনুমান করা হয় যেখানে গুপ্তধন লুকানো থাকতে পারে ।
প্রথম জায়গার নাম মুনি আইল্যান্ড। মুনি আইল্যান্ড সম্পর্কে জানা জায় ১৭ শতকের একটি স্প্যানিশ মুদ্রা থেকে, যাতে এই দ্বীপের নাম লেখা আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই দ্বীপটি এখন আর নেই। কিন্তু গুপ্তধন এখানে থাকলে তা খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে।
তবে যদি না থাকে তবে এটি এর ভেতরে একটি জায়গায় থাকতে পারে যার নাম ট্রেজার লেক।
এখনো পর্যন্ত ক্যাপ্টেন কিডসের গুপ্তধন খোঁজ কেউ দিতে পারেনি,তাই চাইলে আপনিও নেমে পড়তে পারেন এই গুপ্তধন খুঁজতে। কি জানি হয়ত আপনিই হয়ত হবেন এই গুপ্তধনের মালিক
আজ এ পর্যন্তই আগামীতে আরও গুপ্তধন সম্পর্কে লেখা হবে। এছাড়াও অন্যান্য রহস্যময় ঘটনা তো থাকছেই।তো সবাই ভালো থাকবেন আজকের মত বিদায়।