The Horror House Episode-1 : Chelsea Hotel

আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আর্টিকেল।
আজকের বিষয় হন্টেড হাউজ নিয়ে , দুনিয়া জুড়ে যত ভূতুড়ে বাড়ি আছে সেগুলো বর্ণনা এখানে দেওয়া হবে। আজকে আমরা জানব একটি হোটেল সম্পর্কে যার নাম চেলসিয়া হোটেল।

চেলসিয়া হোটেল বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর হন্টেড হোটেল হিসাবে গণ্য করা হয়। গত শতাব্দীতে হোটেলটিতে অনৈতিক কাজ , মানুষ হত্যার  ঘটনার জন্য হোটেলটি অনেক বিখ্যাত ছিল । মনে করা হয় এখানে অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা হয়,যার ফলে ওই সমস্ত মানুষের আত্মা এখনো এই হোটেলে ঘুরে বেড়ায় ।
হোটেল টি ১৮৮৩ সালে নির্মিত হয় , যখন এটি নির্মিত হয়  তখন এটি একটি প্রাইভেট এপার্টমেন্ট ছিল । তারপর ১৯০৫ সালে এর মালিক এটি বিক্রি করে দেয় , এবং এরপর এটি হোটেলে পরিনত হয় । ১৯ শতকের প্রথম দিকে হোটেল কম আয়ের লোকদের অফার করত বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা করতে । তারা যেন লোক চক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে এসব করতে পারে এজন্য তারা বিভিন্ন নিরাপত্তা দিতো।
১৯৫০ দিকে এটি তার কার্যক্রম পাল্টায় বা বাধ্য হয় কোন এক কারনে । এটি এরপর শৈল্পিক ধরনের মানুষদের আকৃষ্ট করতে থাকে । এদের মধ্যে ছিলেন ইগেন ও'নিল,টমাস উলফ , আর্থারের সি.ক্লার্ক,জেনিস জপলিন,লিওনার্দ চোহেন,বব ডাইলান ,জ্যাক কেরক সহ আরও অনেকে। ১৯৫৩ সালে এই হোটেলে ২০৬ নম্বর রূমে কবি ডাইলান টমাস মারা যান ।তার মৃত্যুর কারণ ছিল তার ডিংক করায় , অর্থাৎ এলকোহল পয়জনিং।ডাইলানের শেষ কথা হচ্ছে"আমি আট গ্লাস হুইস্কি খাই ,যেটা আমার রেকর্ড ।"
The Lost Weekend লেখক চার্লস আর. জ্যাকসন এই হোটেলের একটি রূমে আত্মহত্যা করেন ১৯৬৮ সালে। চার্লস জেমস আমেরিকার প্রথম couturier এই হোটেলে মারা যান ১৯৭৮ সালে ।পরের মৃত্যুটি হয় ,ওই সময়ের একজন কন্ঠশিল্পী সিড ভিসিয়াস, তার প্রেমিকা ১২ অক্টোবর,১৯৭৮  মারা যান। তাদের মৃত্যুর কারণও এলকোহল পয়জনিং।
গত শতাব্দীতে চেলসিয়া ছিল মৃত্যু, আত্মহত্যা, খুন এর আতুর ঘর । আর তার প্রধান কারণ এলকোহল পয়জনিং।আর একারণেই এটিকে হন্টেড হোটেল পরিনত করে।
হোটেলে অবস্থানরত লোকজন এবং ভিজিটরগন হোটেলের ফাস্ট ফ্লোরের এলিভেটরে সিড ভিসিয়াস এর ভূত দেখতে পেয়েছে বলে তারা দাবি করে।তারা যেসমস্ত বিষয়গুলো উপলব্ধি করে তা হলো :-১০০ নম্বর রূমের কাছে তারা প্রচন্ড আকারের তাপমাত্রা অনুভব হয়।কেউ কেউ দাবি করে ১০০ নম্বর রূম থেকে মিউজিকের আওয়াজ আসতে, আবার নারী পুরুষের গলায় গান গাইতে শুনেছে অনেকেই। বলে রাখি ১০০ রূমকে আগেই পরিত্যক্ত করা হয়।
টমাস উলফের ভূত দেখা যায় ২০৬ নম্বর রূমে । একদিন ওই রূমের একজন গেস্ট খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে একটি ভূতুড়ে মুখ দেখতে পান। ওই ভয়ংকর মুখটি তার বিছানার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। গেস্টের বর্ণনা অনুযায়ী ওই মুখটি টমাসের ছিল। টমাসের অবয়ব কিছুক্ষণের মধ্যেই মিলিয়ে যায়। এছাড়াও অনেকেই করিডরে জোরে জোরে কেউ হাঁটছে এমন শব্দ শুনতে পায় , কেউ যদি পায়ের শব্দ কার তা জানতে বের হয় তবে কাউকে দেখতে পায়না। এছাড়াও ১২৪ নম্বরে একটি অবয়বকে দেখতে পাওয়া যায়, যে বাথরুমে ঘোরাঘুরি করে।
সাম্প্রতিক সময়ের রিপোর্ট একজন মহিলার কাছ থেকে পাওয়া যায়। তিনি, তার বোন এবং তার মা নোটিশ করেন যে তারা যখন হলওয়ে ও বাথরুমে যান তখন লাইট নিভে যায় এবং জ্বলে ওঠে, এবং পুনরাবৃত্তি হয় । এরপরে তারা আরও বলেন যে তারা একটি মহিলার আর্ত চিৎকার শুনতে পান, এছাড়াও শুনতে পান বাথরুমের বেসিন থেকে পানি পড়তে এবং বন্ধ হতে। কিন্তু ওই সময় বাথরুমে কেউ ছিলেন না । এবং বেসিন থেকে অদ্ভুত বাবল উঠত । ওই রূম থেকে একটি ছবি তোলা হয় যাতে দেখতে পাওয়া যায় একটি কঙ্কালের ছবি,ছবিটি ওপর থেকে ডান দিক থেকে তোলা হয়েছিল।
এছাড়াও এ হোটেলে বিভিন্ন প্যারানরমাল জিনিস উপলব্ধি হয় । যেমন হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া,বাতি জ্বলানেভা করা ,কোন অবয়ব বা কোন অবজেক্ট সরে যাওয়া এবং রূমের আসবাবপত্র অগোছালো বা পরে যাওয়ার শব্দ হওয়া।
কেমন লাগলো প্রথম আয়োজন, জানাতে ভুলবেন না ।আজ এ পর্যন্তই আগামীতে আবার দেখা হবে কোন এক রহস্যময় ঘটনা নিয়ে। ধন্যবাদ সবাইকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন